reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ডিভোর্স চেয়েছিলেন মিন্নি

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২৫ জুন দুপুরে রিফাত ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি রিফাতের ফুফাত বোন হ্যাপি বেগমের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। মিন্নি স্বাধীনভাবে চলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিফাত তাকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে রাজি ছিলেন না। এ কারণে ওই বাসায় মিন্নি রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিল। রোববার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এমনই সাক্ষ্য দিয়েছেন হ্যাপি বেগম। সাক্ষ্যপ্রদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

একই দিন আদালতে এ হত্যা মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেন- বরগুনা পৌর কাউন্সিলর ফারুক শিকদার ও জয় চন্দ্র রায়।

সাক্ষ্য প্রদানকালে মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ পর্যন্ত ৩৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে।

এদিকে একই আদালতে রোববার মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি করে সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার হতে পুলিশ পাহারায় আট আসামিকে দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মিন্নিও তার বাবার সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হন। আসামি মুছা এখনো পলাতক রয়েছেন।

সাক্ষ্য প্রদান শেষে জয় চন্দ্র রায় বলেন, ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় রিফাত শরীফ ও মিন্নি বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে আসে। আমার সঙ্গে তাদের দেখা হয়। রিফাত চলে যাওয়ার পর আমি ও মিন্নি কলেজে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণ পর মিন্নি কলেজের দক্ষিণ পাশের দেয়ালে একটি মই (সিঁড়ি) দিয়ে নয়ন বন্ডের বাসায় যায়। রিফাত শরীফ মিন্নির ফোন বন্ধ পেয়ে আমাকে বারবার ফোন দিয়ে মিন্নির কথা জানতে চায়। আমি রিফাত ভাইকে বলি মিন্নি ক্লাসে। এর পর আমি নয়ন বন্ডকে ফোন দিয়ে বলি রিফাত ভাই মিন্নিকে খুঁজছে। তাকে পাঠিয়ে দাও। আমি নয়ন বন্ডের কথামতো মিন্নিকে আনতে তার বাসায় যাই এবং মিন্নিকে রিকশায় করে নিয়ে আসি।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রিফাত হত্যাকাণ্ড,মিন্নি,ডির্ভোস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close