ভৈরব প্রতিনিধি
মেঘনায় ৮ মণ ওজনের ‘পানপাতা’ মাছ
ভৈরবের মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে পানপাতা নামে একটি বড় মাছ। গত মঙ্গলবার রাতে ভৈরবের আড়তে মাছটি বিক্রি হয় ৪৫ হাজার টাকায়। আড়তের বিক্রেতা পারভেজ মিয়া জেলে কাজলের কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন।
জানা গেছে, ভৈরবের জেলে কাজল মিয়া আর গণি মিয়া মঙ্গলবার সকালে মাছ শিকারে মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে বের হন। দুপুর পর্যন্ত কোনো বড় মাছ জালে ধরা পড়েনি। বিকালে আশুগঞ্জের কাছে নদীতে জাল ফেললে টানার সময় জোর লাগছিল বলে জানান গণি মিয়া। তিনি বলেন, কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না জালে কী মাছ রয়েছে। জাল টেনে নৌকার কাছে আনতেই দেখলাম পানপাতা মাছ। তার পর অনেক কষ্টে মাছটি নৌকায় তোলা হয়; তখন খুশি লাগছিল।
এরপর সন্ধ্যায় মাছটি আশুগঞ্জ বাজারে নেওয়া হলে সেখানে ক্রেতা ছিল না মাছটি কেনার। পরে মাছটি রাতে ভৈরবের নৈশ মাছ আড়তে নিয়ে নেওয়া হয়। ওজনে আট মণ হয়। মাছ দেখে মানুষের ভিড় জমে যায়। তার পর বাজারের ক্রেতা পারভেজ মাছটি ৪৫ হাজার টাকা দামে কিনে নেন।
বিক্রেতা পারভেজ মিয়া জানান, এত বড় মাছের ক্রেতা নেই। মাছটি কেটে টুকরো করে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এতে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। সৌভাগ্যবান জেলে কাজল মিয়া বলেন, নদীতে আমরা বোয়াল, রুই, নলা মাছ মারতে যাই। কোনো দিন মাছ বেশি পাই আবার কোনো দিন কম পাই। জীবনে কখনো পানপাতা মাছ জালে ধরা পড়েনি।
ভৈরব নৈশ মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, পানপাতা মাছ একটি বিরল প্রজাতির মাছ। এ মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। মেঘনায় এ মাছ এখন দেখা যায় না। মাছটি গভীর পানিতে থাকে বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান। তিনি বলেন, সাগরের সংযোগস্থল মেঘনায় হয়তো ভুল পথে মাছটি এসে পড়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর মেঘনায় ধরা পড়েছিল আট মণ ওজনের পানপাতা মাছ।
পিডিএসও/তাজ