কেরানীগঞ্জে দগ্ধদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তার ভাষ্যমতে, দগ্ধ ব্যক্তিদের সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দগ্ধদের দেখতে আসা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। কারখানাটিতে ওয়ান টাইম প্লেট তৈরি করা হতো বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরপর শ্রমিকরাই পানি ও কারখানায় থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তখনই তারা দগ্ধ হয়।
অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ হাজার স্কয়ার ফিট কারখানাটির ভেতরের সব মালামাল ও যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকির হোসেন নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৩১ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আটজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধদের ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সকালে বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক জানান, গতকাল রাতে দগ্ধ ৩১ জনকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়।
এ সময়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, কেরানীগঞ্জে দগ্ধদের ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার জন্য যা কিছু করা দরকার তা আমরা করব। বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পিডিএসও/হেলাল