হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

  ১২ নভেম্বর, ২০১৯

ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে গিয়ে পেলেন চাচা-চাচির লাশ

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের দুজন রয়েছেন। তারা হলেন, মজিবুর রহমান (৫২) ও তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪২) দম্পতি। মজিবুর রহমান উপজেলার রাজারাগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী মৃত আ. জলিলের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম এবং ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উদয়ন এক্সপ্রেসের দুটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়।

নিহত মজিবুর রহমান সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হার্ডওয়্যার মালামালের ব্যবসা করতেন। এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম বাড়ি (হাজীগঞ্জ) থেকে শ্রীমঙ্গল যান। বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে রেলপথে উদয়ন এক্সপ্রেসে ট্রেনে উঠেন মজিবুর রহমান। পরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগম।

এদিকে, ট্রেন দূর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে দেখতে এসেছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি দূর্ঘটনাস্থল দেখার পর নিহতের মরদেহ দেখতে কসবা উপজেলার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান।

সেখানে বিদ্যালয়ের বারান্দায় নিজের নিজের চাচা মজিবুর রহমান ও চাচি কুলসুমার মরদেহ দেখতে পান। এরপর তিনি গ্রামের বাড়িতে ফোন দিয়ে নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানান।

নিহত দম্পতির ছোট ছেলে ইয়াসমিন (১৬) জানান, বাবা শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন বাজারে হার্ডওয়ারের ব্যবসা করতেন। কিছুদিন আগে বাবার কাছে মা বেড়াতে যায়। মঙ্গলবার বাবা ও মায়ের বাড়িতে আসার কথা ছিল। গতরাত (সোমবার) সাড়ে ৯টার দিকে বাবা-মায়ের সাথে আমার শেষ কথা হয়। এরপর আমি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ৩টার সময় ফোনে খবর পাই, ট্রেন দুর্ঘটায় বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হাজীগঞ্জ,ট্রেন দুর্ঘটনা,দম্পতি নিহত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close