সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ১০ নভেম্বর, ২০১৯

লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরা, উপকূলে বিধ্বস্ত ৫০ হাজার ঘরবাড়ি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি। দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। তবে এখনো পর্যন্ত জেলার কোথাও কেউ আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও কমবেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, এলাকায় একটি ঘরবাড়িও নেই। এখানকার বেশিরভাগ ঘরবাড়িই হচ্ছে মাটির তৈরি। দুই একটি টিনের। মাটির তৈরি ঘরবাড়ি ও টিনের ঘরবাড়ি একটিও ভালো নেই। সব বিধ্বস্ত হয়েছে। আমার ইউনিয়নে পাঁচ হাজারেরও অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। রাস্তাঘাটের গাছপালা পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এলাকার মাছের ঘেরগুলো সব ভেসে গেছে।

একই উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল জানান, ইউনিয়নের দুই হাজারেরও অধিক কাচাঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটির তৈরি কোনও ঘরবাড়িই ভালো নেই। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের ঘেরগুলোও ভেঙে গেছে।

অন্যদিকে, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। মানুষের থাকার জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিত রয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোববার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বুলবুল ঝড়ে সাতক্ষীরা সদর, তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সাতক্ষীরা জেলা কন্ট্রোল রুমের তত্বাবধায়ক জেলা ডিআরআরও প্রশান্ত কুমার রায় জানান, জেলা ব্যাপী ৫০ হাজার কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৬০ টি ঘর। সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৮০টি ঘরবাড়ি। এছাড়া জেলার কোথাও কোন হাতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সাতক্ষীরা,লণ্ডভণ্ড,বুলবুল
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close