শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর (বরিশাল)

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

মোটর বাইক থেকে ফেলে দেয়া সেই স্কুলছাত্র ইমন মারা গেছে

বন্ধুদের সঙ্গে মটর বাইকে চড়ে পুজা মন্ডপে ঘুরতে গিয়ে মারধর করা এবং চলন্ত বাইক থেকে ফেলে দেয়ার পর ২০ দিন ধরে ঢাকা পিজি হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের স্কুলছাত্র ইমাম হোসেন ইমন (১৪) মারা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দরিদ্র কৃষকের পুত্র মেধাবী স্কুলছাত্র ইমন না ফেরার দেশে চলে গেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে এলাকার মানুষ শোকে কাতর। হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে ইমনের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শনিবার বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন।

গত ৫ অক্টোরব রাত ৮ টার দিকে পুজা দেখার নাম করে একই গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নুরুন নবীন মেবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় ।এসময় তার সাথে নবিনের আরো ৩ সহযোগী ঠাকুর মল্লিক গ্রামের জাহাঙ্গীরের পুত্র হাসান, ইসলামপুর গ্রামের আমির হোসেন হাওলাদারের পুত্র সোহেল, চরহোগল পাতিয়া গ্রামের ফারুক আকনের পুত্র মুন্না একত্রে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন রাতে বন্ধুরা বিভিন্ন পুজা মন্ডপে ঘুরে বেড়ানোর একপর্যায়ে বন্ধুদের সাথে ইমনের মতপার্থক্য হলে তাকে চলন্ত মোটর বাইক থেকে ফলে হত্যার চেষ্ঠা করে নুরুন নবী, সোহেল, হাসান ও মুন্না । এক পর্যায়ে আহত স্কুলছাত্র ইমনকে নুরুন নবীর বাড়িতে একটি ঘরে অটকে রেখে হত্যার জন্য দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করে। পরদিন ৬ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে ইমনকে আটক রাখার খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় নবীনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (পিজি) পাঠানো হয়।

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩ অক্টোবর বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে স্কুলছাত্র ইমনের পিতা নাসির উদ্দিন বেপারী ।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, স্কুলছাত্র মারা যাওয়ার সংবাদ তিনি পেয়েছেন, ছাত্র ইমনের বাবার দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উজিরপুর,ইমন,মোটরবাইক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close