জালাল উদ্দিন হাককানী, মহম্মদপুর (মাগুরা)

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা : অভাবে মহম্মদপুরের ৫০০ জেলে

সারা দেশের মতো মাগুরার মহম্মদপুরেও গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রজনন মৌসুমের পূর্বে থেকেই জেলেদের সচেতন করা হয়। তারপরও যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামবে; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস বিভাগ।

তবে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞায় বেকার হয়ে পড়েছে নদীনির্ভর প্রায় ৫০০ জেলে। অভাব-অনটনের মধ্যে তাদের দিন কাটলেও সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছে না তারা ।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় নিবন্ধিত ১ হাজার ৫৮৩জন জেলে রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫০০ জেলে মধুমতি নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে জেলেরা তাদের নৌকাগুলো নিরাপদে রেখে জাল বাড়িতে নিয়ে গেছেন। নৌকা ভাসাতে না পারায় নদীনির্ভর এসব জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অলস সময় পার করছেন তারা। এসব পরিবারের দিন কাটছে অভাব-অনটনের মধ্যে। কেউ অর্ধাহারে কেউ অনাহারেও দিন কাটাচ্ছেন।

নদীনির্ভর বিপ্লব মালো, বিপুল মালোসহ কয়েকজন জানান, মধুমতী নদী থেকে আমরা মাছ শিকার করে থাকি। ইলিশ সম্পদ বাড়াতে ইলিশ ধরায় যে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে তা আমরা মানি। কিন্তু এসময় আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে অভাব-অনটনে আছি। সরকারিভাবে আমরা কোন সহযোগিতাও পাচ্ছি না।

লাকু মোল্যা নামে এক জেলে বলেন, আমরা সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। তাতে কোনো কাজ হয়নি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে আমাদের কষ্টটা একটু কমে যেত।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, ২২ দিন ইলিশ ধরার পাশাপাশি সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সময় সরকারিভাবে সিলেক্টেড কিছু জায়গায় সহায়তা দেওয়া হয়। মহম্মদপুর উপজেলা ইলিশ জোনের মধ্যে না পড়ায় তারা সরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছে না।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইলিশ ধরা,ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ,মাগুরা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close