প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
মিনিস্টার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি
গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় মাইওয়ান ইলেকট্রনিকসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেডের কারখানায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ছয়তলা কারখানা ভবনের ষষ্ঠ তলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, পরে তা পাশের আরেকটি ছয়তলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। তবে বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে বলে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান জানান।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কেউ হতাহত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়নি।
ওই কারখানায় অগ্নিনির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পাশের মার্কওয়্যার লিমিটেডের জলাশয় ও পানি ব্যবহার করে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কলকারখানা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মোতালিব মিয়া বলেন, এই কারখানায় নিয়মিত অগ্নিনির্বাপন মহড়ার আয়োজন করা হতো না। ছয় তলার ওপরে গুদাম রাখারও নিয়ম নেই। কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও অগ্নিনির্বাপনের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল না বলে ২০-২৫ দিন আগেও আমরা নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি। এ কারণে কলকারখানা অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেডের ডিজিএম (অ্যাকউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই কারখানায় টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর সংযোজনের পাশাপাশি রাইস কুকার, ইস্ত্রিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করা হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত আসনের এমপি শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম এবং পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, মিনিস্টার কারখানায় আগুনের কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পিডিএসও/হেলাল