বেনাপোল প্রতিনিধি

  ১৮ আগস্ট, ২০১৯

কলকাতায় গাড়ি চাপায় নিহত ২ বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর

ভারতের কলকাতায় গত শুক্রবার গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ রোববার সকাল ৯টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত এসেছে। লাশ হস্তান্তরের পর স্বজনদের আজাহারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ, পুলিশ, কাস্টমস এবং বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন ঝিনাইদাহ জেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে কাজি মোহাম্মাদ মঈনুল আলম (৩৬) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার চান্দুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)।

জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতার শেকসপিয়র স্মরণি ও লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে জাগোয়ার নামের একটি দ্রুতগামী গাড়ি কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড গতি নিয়ে ধাক্কা দেয় একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীকে পিষে দেয়। কলকাতার এস এস কেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

নিহতদের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ফারহানা ইসলাম ঢাকায় সিটি ব্যাংকে ও মঈনুল ইসলাম ঢাকায় গ্রামীণ ফোনে চাকরি করতেন। গত ১৫ দিন আগে তারা ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশে গিয়েছিল। নিহত ফারহানার লাশ বেনাপোল চেকপোস্টে গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই আবু ওবাইদা সাফিন আর মঈনুল আলমের লাশ গ্রহন করেন তার চাচাতো ভাই জিয়াদ আলী।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ জানান, ভারত থেকে নিহত ২ বাংলাদেশির লাশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে ঘাতক জাগুয়ারের চালক কলকাতার বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান আরসালানের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজকে পুলিশ প্রেফতার করেছে। পারভেজকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গাড়ি চাপায় নিহত,কলকাতা,বাংলাদেশি নিহত,লাশ হস্তান্তর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close