রাজবাড়ী প্রতিনিধি

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

পদ্মা নদীতে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

রাজবাড়ীতে দিশেহারা নদী পারের মানুষ

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ধুঞ্চি গোদার বাজার, সোনাকান্দর সাধুর বটতলা-সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে গত কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙছে বসতি বাড়ি, আবাদী জমি। নিঃশ্ব হচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ।

গতবছরের ভাঙনে ধুঞ্চি গোদার বাজার এলাকা থেকে সোনাকান্দর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সিসি ব্লক দিয়ে বাধা ৩ শত মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছিল।

তাছাড়া হুমকিতে রয়েছে নদী পারের থাকা চর ধুঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্কুল ও এলাকার মসজিদ। প্রতিবছরই পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শতশত বিঘা ফসলি জমি। রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর, বরাট, উড়াকান্দা, ভবদিয়া এবং গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গার পদ্মাপারের মানুষের বাড়িঘর হুমকির মধ্যে পড়েছে।

দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজাানি গ্রামের কৃষক কদম আলী শেখ বলেন, এবার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীতীরের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পাট ও বেগুনের ক্ষেত পদ্মার ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকার ৮ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী ও জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। রাজবাড়ী জেলার জন্য নদী ভাঙন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, তাই আরো ১৭ কিলোমিটারের জন্য ডিপিপির কাজ চলমান রয়েছে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, রাজবাড়ী নদী ভাঙনকবলিত এলাকা। জেলার ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভাঙনের শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি সবেমাত্র জেলায় যোগদান করেছি। সম্প্রতি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও নদী ভাঙনের স্বীকার কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের সহায়তার ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করছি।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজবাড়ী,নদী ভাঙন,তীব্র স্রোত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close