reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ জুলাই, ২০১৯

উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

উজানের ঢল আর সপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষণে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বানভাসী মানুষ। কোথাও কোথাও সুপেয় পানি ও শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা এবং ধুনট উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়। এছাড়া পানি ওঠায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৪৭টি বিদ্যালয়।

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ নদীর পানি বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার ৯ উপজেলার ২শ ৬২টি গ্রাম ভাসছে বানের পানিতে। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টাঙ্গন নদীর পানি বাড়ায় ঠাকুরগাঁও শহর ও নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পৌর এলাকার স্কুল কলেজগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জিঞ্জিরাম ও ঝিনাই নদীর পানি বাড়ছে হু হু করে বাড়ছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার ৬ উপজেলার ৩ শতাধিক গ্রাম। বন্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ৯০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নেত্রকোনার কংশ ও উব্দাখালী নদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদর ও কমলাকান্দা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় এ জেলার ৮০ হেক্টর জমির আউশ-আমন এবং ১শ ২০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

এদিকে পদ্মা ও যমুনার পানি বাড়ায় ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়েছে মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়িসহ স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি।

যমুনার পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী কষ্টাপাড়া, ভালুটিয়া ও খান্নুরবাড়ি এলাকা। ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন অনেকে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদ নদীর পানি বাড়ায় পদ্মা তীরবর্তী শরীয়তপুরসহ দেশের বেশকিছু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উত্তর ও মধ্যাঞ্চল,বন্যা পরিস্থিতি,অবনতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close