নীলফামারী প্রতিনিধি
ভাঙনের মুখে ডানতীর বাঁধ
তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে
উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে নীলফামারীতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার পর থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.৬০) ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়ার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল থেকে বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। ছয়টার পর বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার, নয়টায় কিছুটা কমে বিপদসীমা বরাবর, দুপুর ১২ টায় বৃদ্ধি পেয়ে সাত সেন্টিমিটার এবং বেলা তিনটায় ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, বুধবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হতে থাকে। যা অব্যাহত রয়েছে। ইউনিয়নের নয়’শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে এখনো।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরখড়িবাড়ি ও পুর্ব খড়িবাড়ি এলাকা। তিনি বলেন, পানির সোতের কারণে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে, জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বানপাড়ায় তিস্তার ডানতীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরফলে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ আতংকে রয়েছে। বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তায় বালু ভরে জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, বাঁধের ৬০মিটার পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছি ১২০ মিটার পর্যন্ত। তিনি বলেন, বাঁধটি স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তার আশপাশ এলাকায় বসবাসর মানুষদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছি।যাতে যে কোনো সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বাঁধগুলো পরিদর্শন করে দেখছি। কারণ ভাঙন হলে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
পিডিএসও/তাজ