রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়া ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
আপনজনের সাথে ঈদ করতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গত শুক্রবার থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ বাস টার্মিনালে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নামা শুরু হয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় প্রতিবারের মতো নেই কোনো যানজট। তৎপর রয়েছে প্রশাসন। সে কারণেই লঞ্চ ও ফেরি থেকে নেমেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যে।
তবে লোকাল বাসে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে বাস ও মাহেন্দ্র অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করছে যাত্রীরা।
ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. আবুল হোসেন বলেন, রোববার ভোর থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রীরা বাস টার্মিনালে পৌঁছালে যাত্রীর এ চাপ শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, যত বেলা বাড়ছে ততই যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঢাকাগামী যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে অঞ্চলে চলাচলকৃত বাস ও মাহেন্দ্রগুলো। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। রাজবাড়ী, ফরিদপুরসহ আশপাশের জেলার বাস টার্মিনালগুলো থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও এসব জেলার মাঝপথের যাত্রীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এ সময় ঢাকা থেকে রাজবাড়ীর উদ্দেশে আসা লঞ্চের যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ঢাকাতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি ঈদ ছাড়াও মাঝে মধ্যেই বাড়িতে আসতে হয়। কোনো দিন ভোগান্তি ছাড়া যেতে পারি না এ ঘাট দিয়ে। বিগত কয়েক বছর ঈদের সময় যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এ বছর তার উল্টো, কোনো ভোগান্তি নেই। ঢাকা থেকে একটি লোকাল বাসে রওনা সাথে সাথেই পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চ এ উঠতে পেরেছি। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাটে আসার পর মাহেন্দ্র রাজবাড়ী পলাশ পাম্প পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছে ১৫০ টাকা যা তিন ডাবল।
পিডিএসও/হেলাল