রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
রাজশাহীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদর, বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালীর কাপাসিয়া এলাকার মনি (১৩), বাঘা উপজেলার ফতেপুর বাউসা গ্রামের মোহাম্মদ বাছা হোসেন (২৮) এবং গোদাগাড়ী উপজেলার সারাংপুর এলাকার মুসাউল হক (১৫) ও বাসুদেবপুর গ্রামের জমসেদ আলী (৫৫)।
কাটাখালী থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, বৃষ্টির সময় কাপাসিয়া এলাকায় বজ্রপাতে মনির মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার মো. কামালের ছেলে। বৃষ্টি চলাকালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফতেপুর বাউসা স্কুলের পেছনে বাড়ির পাশে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াতে যান সলেমান হোসেনের ছেলে বাছা হোসেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে অমরপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাসায় ফিরছিলেন বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত রইসুদ্দীনের ছেলে জমসেদ আলী (৫৫)। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়ানোর সময় সারাংপুর পুলিশপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুসাউল হক (১৫) বজ্রাঘাতে মারা যান। তিনি আরো জানান, নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের মতো বৃহস্পতিবারও রাজশাহীতে তীব্র তাপমাত্রা ছিল। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে রাত ১০টা ৬ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি চলে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় এক ঘণ্টায় ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
পিডিএসও/তাজ