বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
টানা ৯দিনের ছুটির ফাঁদে বেনাপোল স্থলবন্দর
পবিত্র শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ৯দিন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। তবে মাঝে ২দিন আমদানি-রফতানি চলবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। আমদানি রফতানি বাণিজ্যে পড়বে বিরূপ প্রভাব।
এমনিতেই উভয় বন্দরে পণ্যজট লেগেই থাকে। লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। সীমান্তের দুপাশের ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান জানান, ৩০ মে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাস্টম ও বন্দরের কার্যক্রম। ৩১ মে ও ১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি, ২ জুন শবে কদরের ছুটি, ৩ জুন একদিন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোন কাজ হবে না। ৪,৫ ও ৬ জুন ঈদের তিন দিনের ছুটি। ৭ ও ৮ জুন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ জুন সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে এ পথে। ১ ও ৩ জুন শুধুমাত্র আমদানি-রফতানি হতে পারে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ৩১ মে থেকে সাপ্তাহিক ও ঈদের লম্বা ছুটি হতে যাচ্ছে। ৩ জুন বন্দর খোলা থাকবে। কেউ পণ্য ডেলিভারি নিতে চাইলে অবশ্যই দেওয়া হবে। তবে ঈদের আগে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ পণ্য নিবে বলে মনে হয় না বলে আমার ধারণা।
বেনাপোল কাষ্টম হাউজের সহকারি কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, এবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের ৯দিনের লম্বা ছুটির মধ্যে ৩ জুন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোন কাজ কর্ম হবে না। ঈদের একদিন আগে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকরা কোন কাজ করতে চায় না। সেক্ষেত্রে ৯ জুন থেকে শুরু হবে সরকারি অফিস-আদালত। সব মিলিয়ে টানা ৯ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ।
এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।
পিডিএসও/তাজ