কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী মাহাদী নিহত
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই অস্ত্রধারীর নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো দলের সঙ্গে র্যাব, পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে ওই অস্ত্রধারী নিহত হন।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার (চট্টগ্রাম) মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান।
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইকারী একজন ছিলেন। তার বয়স অনুমানিক ২৫-২৬ বছর। ছিনতাইকারীকে নিবৃত করার জন্য আমাদের কমান্ড বাহিনী প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার করার বা স্যারেন্ডার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর স্বাভাবিক অ্যাকশন যেটা সেটাই হয়েছে। আমাদের সাথে গোলাগুলিতে ছিনতাইকারী প্রথমে আহত এবং পরবর্তীতে নিহত হয়।’
কমান্ডো অভিযানে হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল ছিলেন বলে জানান মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
নিহত ছিনতাইকারী নিজের নাম মাহাদী বলেছিলেন বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে আমাদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানবাহিনী প্রথম জানতে পারে যে, বিমানটি হাইজ্যাক হয়েছে। বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটে এখানে অবতরণ করে। অবতরণ করার পরে এখানে উপস্থিত বিমানবাহিনী, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে ইমারজেন্সি সিসুয়েশন ম্যানেজম্যান্ট করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টা দিকে এখানে আমাদের অ্যাপ প্যারাকমান্ড ব্যাটালিয়নের সিইও এবং তার দলবলসহ বিএন ঈসা খান অনেক আগে থেকেই অন্য কাজে এখানে মোতায়েন ছিল। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টায় জানানোর পরে তারা দ্রুততম সময়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয় এবং অত্যন্ত সফল একটা অভিযান পরিচালনার মধ্যদিয়ে এই ছিনতাইয়ের অবসান হয়।’
পিডিএসও/রি.মা