কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২০ জানুয়ারি, ২০১৯

নোয়াখালীতে গণর্ধষণ : বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে ঘরের সিঁধ কেটে ৩ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

রোববার সকালে নবগ্রাম নিমতলা সমিতির বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত জহির ও সন্দেহজনকভাবে ভিকটিমের দেবরসহ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি, নতুন করে গ্রেফতারকৃত ৩ জন নিরপরাধী।

মানববন্ধনে বক্তারা সাধারণ লোকজনকে হয়রানি না করে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। অন্যথায় তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন বলেও ঘোষণা দেন।

এদিকে পুলিশ কোন নিরপরাধী লোকজনকে হয়রানি করছে না দাবি করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বলেন, গ্রেফতার জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া তথ্যমতে রাতে নবগ্রামে অভিযান চালিয়ে অজিউল্যার ছেলে আব্দুর রব হোসেন মান্না (২১), ইমসাইলের ছেলে মো. সেলিম (২৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসি দাবি করে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমিতি বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হক, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানী মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জহিরের নেতৃত্বে ৭ জন স্থানীয় আবুল হোসেনের ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আবুল হোসেনের স্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার টাকা আছে বলে সেগুলো দিতে বলে। এ নিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের তর্কবির্তক হয়।

পরে তারা ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে ভিকটিমের মা, ভিকটিমের এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মধ্যে ৩ জন পালাক্রমে ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে। পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ধর্ষকরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, ২ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

পরে শনিবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে জাকির হোসেন জহিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গণধর্ষণ,নোয়াখালী,মানববন্ধন,কবিরহাট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close