নওগাঁর রাণীনগরে নাছিমা বেগম (৩২) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

গত রোববার রাতে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম সৌদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাণীনগর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গৃহবধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় দঁড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের পিরেরা গ্রামের নবাব আলী ওরফে লবা সরদারের মেয়ে নাছিমা বেগমের সাথে ২০০৪ ইং সালে একই উপজেলার ঘোষগ্রাম সৌদিপাড়া গ্রামের আতুল প্রাং এর ছেলে মো. এলাহী বক্সের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করে।

সম্প্রতি বেশকিছু দিন ধরে অন্য এক মেয়ের সাথে এলাহী বক্সের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গৃহবধু নাছিমা তা প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এছাড়া তার স্ত্রী নাছিমাকে প্রায়ই মারপিট নির্যাতন করতো।

গত রোববার রাতে গৃহবধুকে বেধরক মারপিটের এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে এলাহী ও তার পরিবারের লোকজন কৌশলে গলায় রশি (দঁড়ি) দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে লোক দেখানোর ভান করে। এরপর থেকে গৃহবধুর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

গৃহবধুর বড় ভাই মো: আসাদুল ইসলাম জানান, আমার বোনকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে। এরপর গলায় রশি (দঁড়ি) দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে লোক দেখানোর ভান করছে। আগে থেকেই আমার বোনকে তারা নির্যাতন করতো। এখন তারা পলাতক। আমি তাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন, নাছিমা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট পেলে গৃহবধুর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে— হত্যা না আত্মহত্যা। এরপর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ