মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি

  ০৩ জানুয়ারি, ২০১৯

দুই দিনে সিসিকের ১৮ লাখ টাকা বকেয়া আদায়

দ্বিতীয় দিনের মতো সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এলাকায় গ্রাহকদের কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবত বকেয়া আদায়ে অভিযান চালানো হয়। গত দুই দিনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকায় দিনভর সিসিক মেয়রের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় ৮ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় হয়। আর অভিযানের প্রথম দিন বুধবার আদায় করা হয় ১০ লাখ টাকা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে বার বার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও বিল পরিশোধ করেননি এদের বিরুদ্ধেই এই অভিযান। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া বিল রয়েছে। বিল আদায় না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিল না দেওয়া ও বিল আদায় না করা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এ অভ্যাস আমাদের পরিত্যাগ করতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিলে বিল সময়মত পরিশোধ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাতে এতো বিশাল পরিমাণ বকেয়া থাকার কারণে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নগরবাসী নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করলে আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারব।’

সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে বেশ কিছু এলাকার নাগরিকদের কাছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। আর এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭ কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা।

সিলেটে বকেয়া বিল আদায়ে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দ্বায়িত্বে আছেন সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিসিক,বকেয়া,আদায়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close