একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনীত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের জনপদ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবে পরিণত হয়েছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটে যাচ্ছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার পাড়া-মহল্লায় চলছে মাইকিং। পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইসরাফিল আলমের পক্ষে দলের নেতা-কর্মীরা ও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলমগীর কবিরের পক্ষে দলের নেতা-কর্মীরা জোরেসোরে প্রচারণা করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। এছাড়াও এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের শাহজাহান আলী হাতপাখা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাকে মাঠে বেশি দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে তার মাইকিং চলছে এলাকায়। এ আসনে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় মুখর এই জনপদের অলিগলি। সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনী আমেজ। তবে নৌকার অবস্থান বেশ ভাল।

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইসরাফিল আলম, ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ইসলামী আন্দোলনের শাহজাহান আলী।

প্রার্থীদের পদচারনায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে এ আসনের জনপদ। পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে ভোটাদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে প্রত্যন্ত গ্রামের অভিমানী ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়, অসুস্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এই আসনে ভোটের আমেজ ততই বাড়ছে। এ আসনের দুটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৭ জন।

এক সময় বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত এ আসন ২০০৮ সালে ভোটযুদ্ধে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। জেএমবির অপতৎপরতা দমনের পাশাপাশি ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগ। আর আসনটি ফিরে পেতে নতুন আমেজে ভোটারদের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ আসনটি দখলে রাখে বিএনপি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ তরুণ ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন এলাকার উন্নয়ন করবেন ও যাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করবেন তাদেরকেই তারা ভোট দেবেন।

পিডিএসও/অপূর্ব