চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ইছানগর খাল দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আটটি পরিবেশবাদী সংগঠন। সোমবার রাতে ইছানগর খাল বাঁশের খুটি ও বাউন্ডারী দিয়ে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী দখল ও দূষণমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় রাতের আধারে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল দখল করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে খালের উপর দেয়া সীমানা প্রাচীর সরানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

তারা আরো বলেন, ঝড় তুফানের সময় এই খাল সাম্পান মাঝিরা আত্মরক্ষার পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে। যুগ যুগ ধরে এই খালে সাম্পান মাঝিরা তাদের সাম্পান নোঙর করে রাখে। এভাবে চললে আগামী দুইতিন বছরের মধ্যে ইছানগর খাল চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যেটা কিছুতেই হতে দেয়া যাবে না।

মানববন্ধন পরবর্তী ইছানগর খালের দখলকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবের আহমদ; তিনি বলেন, এই খালটি দখল হয়ে গেলে ইছানগর গ্রামের ১৫-২০ হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার শিকার হবে। ডুবে যাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান। তিনি খালটি উদ্ধার করে যথাযথ সংস্কারের দাবী জানান। বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ও মানবাধিকার আন্দোলন পমা, গ্রিনক্লাব গ্লোবাল, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, গ্রামীন পরিবেশ ও কৃষ্টি উন্নয়ন সমাজ সৃষ্টি, মানবকল্যাণ সংস্থা মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম সভাপতি আলীউর রহমান, পরিবেশ ও মানবাধিকার আন্দোলন (পমা) এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবসার মাহফুজ, গ্রিন এলায়েন্স বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন শিশির, দপ্তর সম্পাদক মো. কামাল পারভেজ, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, মানব সম্পদ কল্যাণ সংস্থার সম্পাদক ফরিদ হোসেন আবু, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির উপদেষ্টা জিন্নাত আলী লেদু, ইছানগর বড় সাম্পান সমিতির সভাপতি সাইফুল আলম, ইছানগর সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি তোরাব আলী প্রমুখ।

পিডিএসও/অপূর্ব