reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

মৌসুম শেষ হলেও বঙ্গোপসাগর ও তার মোহনাসংলগ্ন বিষখালি, বলেশ্বর নদী ও গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় দামও ক্রেতাদের নাগালে।

উপকূলীয় বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী, তালতলী, আমতলীসহ দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণত দুই ধরনের জেলে। এক ধরনের জেলে নদ-নদীতে মাছ ধরে, আরেক ধরনের জেলেরা ফিশিং ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকার করে। বলেশ্বর বিষখালিসহ উপকূলীয় নদ-নদীর ইলিশকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় লোকাল ইলিশ। যা আকারে বড় হয়, তৈলাক্ত ও সুস্বাদু হয়। আর গভীর সমুদ্রের ইলিশকে বলা হয় ফিশিং ইলিশ, যা আকারে খুব বেশি বড় হয় না।

মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেদের অবরোধ পালন ফলপ্রসু হয়েছে। সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটায় এখন জেলে, আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে। সব মিলিয়ে যেন শেষ সময়ও আনন্দের জোয়ার বইছে। এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় স্বস্তি ফিরেছে উপকূলীয় জেলে পল্লীগুলোতে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইলিশ,সাগর,নদ-নদী,উপকূলীয় অঞ্চল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close