আব্দুর রহমান রাসেল, রংপুর ব্যুরো

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন দেবী দুর্গা

চোখের জল আর ভক্তদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মিছিলে সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন দেবী দুর্গা। এক বছর পর আবারও ফিরে আসবেন সুখ সমৃদ্ধি আর প্রশান্তির বার্তা নিয়ে। শুক্রবার ঢাকের তালে তালে দেবী দুর্গার প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ শারদীয় দূর্গোৎসবের।

এবছর দেবী পূজা ঘোটকে করে আগমন করেছিলেন। আর বিদায় বেলায় চড়লেন দোলাতে। ‘অশুভ শক্তির বিনাশে সমৃদ্ধ হোক দেশের অগ্রযাত্রা’ এ কামনায় শুভ বিজয়াতে মেতে উঠেছিলো সারাদেশের মত রংপুর অঞ্চলও।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন দেয়া হয়। পরে বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বরে পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে রংপুর জেলা প্রশাসন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় শুভ বিজয়ার বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব। র‌্যালি পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত সরকার মুকুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক সুবল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী অজয় প্রসাদ বাবন, সাধারণ সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য্য, বাংলার চোখ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফী প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাবু লক্ষীণ চন্দ্র সমর মহন্ত। আলোচনা শেষে বিজয়া র‌্যালির মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশ্যে ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ির বহরে নগরীর মুলাটোল দীঘিরপাড় ও ডিমলা কালি মন্দির দীঘির পাড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিসর্জনের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে সকালে বিসর্জনের আগে দেবী দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর পরানোসহ মিষ্টিমুখ করানো হয়। এসময় মন্দিরে আগত নারীরা একে অপরের সিঁথিতে সিঁদুর বিনিময় করেন। সন্ধ্যায় বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রংপুর,প্রতিমা,বির্সজন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close