কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ১৭ অক্টোবর, ২০১৮

ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসবের আজ ২য় দিন

গুরুকে ভজে পরমাত্মার সন্ধানে ভক্তরা

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তীর্থস্থান কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় দোলপূর্ণিমার সাধুসঙ্গকে ঘিরে আখড়া বাড়িতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব।

সাঁইজির বাণী ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এই প্রতিপাদ্যে ভক্তদের আকুতির শিরোনাম ধারণ করে লালন একাডেমির আয়োজনে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে লালন শাহের ১২৮তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে ছেঁউড়িয়া আঁখড়াবাড়ী লালন মাজারকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। রাতে সাদা, লাল, নীল আলোকসজ্জা, বিশাল তোরণ, মাজারের বাইরে বিস্তৃর্ণ কালী নদীর ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। আলোচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা।

লালন ভক্ত ও সাধক ফকির হৃদয় শাহ বলেন, লালন সাধুদের সব কিছুর মূলে গুরু। গুরুকে ভজে তারা পরমাত্মার সন্ধান করে ফেরেন। সেকারণেই গুরুকে সামনে রেখে নিজস্ব ঘরানায় গোল হয়ে আসন নেয় ভক্তরা। চলে আলোচনা।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান অতিথিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিন দিনব্যাপী লালন মেলা ও সভার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম, আওয়ামী লীগ কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী খান, কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, জিপি আখতারুজ্জামান মাসুম, পিপি অনুপ কুমার নন্দী, পৌর মেয়র শামসুজ্জামান অরুন। প্রথম দিনের সভায় লালন দর্শনালোকে প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.শানিনুর রহমান।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাউল সম্রাট,ফকির লালন শাহ,পরমাত্মা,ছেঁউড়িয়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close