সেখ জিয়াউল হক
রাজশাহী ব্যুরো
বন্যা আতঙ্কে চরাঞ্চলের মানুষ
রাজশাহীতে হু হু করে বাড়ছে পদ্মার পানি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন রাজশাহীর বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ। পানির তোড়ে পাড় ভাঙতে দেখে তারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। যদিও নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে এভাবে পানি বাড়তে থাকলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রাজশাহী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক জানান, প্রতিদিনই পদ্মার পানি চার-পাঁচ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। রোববার দুপুর ১২টায় রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৭ দশমিক ০৯ মিটার। এটি ভোর ৬টার চেয়ে এক সেন্টিমিটার বেশি। শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা ছিলো ১৭ দশমিক ০৪ মিটার। এর আগে শুক্রবার ভোরে পানি ছিলো ১৬ দশমিক ৯৬ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৭ মিটার।
এনামুল হক বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। এখন প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এখনই পদ্মার বুকের জেগে ওঠা বেশিরভাগ চর তলিয়ে গেছে। এসব চরে মানুষের বসতি না থাকলে গবাদি পশু পালন হতো। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে যেসব চরে বসতি রয়েছে সেগুলোতে পানি ঢুকবে।
এদিকে, রাজশাহীতে পদ্মায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যাতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাজশাহী নগরীর ওপারের চরধিদিরপুরের জালাল উদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পানির তোড়ে চরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু’একদিনের মধ্যে চরের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়বে। এছাড়া ইতোমধ্যে সব চর ডুবে যাওয়ায় গবাদীপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
অপরদিকে, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে জমে উঠেছে নৌকা ভ্রমণ। রাজশাহী নগরীর টি-বাঁধ ও বড়কুঠিসহ বিভিন্ন স্পটে রাখা আছে সারি সারি নৌকা। ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে মাঝিরা নৌকা ছাড়ছেন ভরা পদ্মায়। মাঝিরা জানিয়েছেন, বছরের বেশিরভাগ সময় নদীতে পানি কম থাকায় তাদের নৌকা তেমন চলে না। তবে ভরা মৌসুমের কয়েকটা মাস তারা নৌকা চালিয়ে বেশ ভালোই আয় করেন।
পিডিএসও/এআই