মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জঙ্গি নিহত

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুলিশের চেকপোস্টে হামলা চালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। নিহতরা লেখক-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো, দাবি পুলিশের।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শ্রীনগরের সাতগাঁও এলাকার কে সি রোডে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল জানান, কে সি রোডের শ্রীনগর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলো পুলিশ। এসময় জঙ্গি সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। তখন পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময়কালে শামীম ওরফে কাকা ওরফে বোমা শামীম (৪০) ও এখলাছুর রহমান এখলাছ (৩৩) নামে দু’জন নিহত হয়। এর আগে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের প্রায় ৪৫ মিনিট বন্দুকযুদ্ধ হয়। জঙ্গিদের দমনে পুলিশ ৫৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ১১টি তাজা ককটেল, ২টি ছোড়া ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

নিহত দু’জন প্রকাশক বাচ্চু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত পুলিশের ৩ সদস্যকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, নিহত জঙ্গি ‘বোমা শামীম’ মুক্তমনা ব্লগার শাহজাহান বাচ্চুর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার লৌক্ষা গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৫টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। নিহত এখলাছুর রহমান এখলাছ (৩৩) জামালপুর জেলা শহরের খামারপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে মুন্সীগঞ্জের বালুরচরে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করার অস্ত্রগুলো গাজীপুরে নিহত রহমানের বাসায় দিয়ে আসে।

তিনি আরো বলেন, ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যার সাথে জড়িত ৪ জনের মধ্যে তিনজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বাকী একজনকেও আটক করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের পূর্ব কাকালদী গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মুক্তমনা ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু (৬০)। দুর্বৃত্তরা দু’টি মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

পিডিএসও/এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মুন্সীগঞ্জ,বন্দুকযুদ্ধ,জঙ্গি,নিহত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close