খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শহর রক্ষা বাঁধের ১১০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন

হুমকির মুখে রাজবাড়ীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র

রাজবাড়ীর গোদার বাজার এলাকায় শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের ১১০মিটার অংশের ব্লক পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে রাজবাড়ীবাসির একমাত্র বিনোদনকেন্দ্রটি পরেছে হুমকির মুখে। যেকোন মূহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বিনোদন কেন্দ্রটি।

মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায় বাঁধের ৬০মিটার অংশটি।

পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত রাজবাড়ীবাসির একমাত্র বিনোদন কেন্দ্রটি ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় জেলাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে যেভাবে পারছেন কর্তৃপক্ষকে দায় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন।

এনিয়ে গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হলো শহর রক্ষা বাঁধের ১১০মিটার অংশ। ২০০৯ সালে নির্মিত বাঁধটি হঠাৎ ভেঙ্গে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। হুমকীর মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ী শহরও।

নদী ভাঙ্গনের তীব্রতায় এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে দু এক দিনের মধ্যেই বিলীন হয়ে যাবে নদীর তীরবর্তী এই বিনোদন কেন্দ্রটি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মঙ্গলবার নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ব্লক দিয়ে নির্মিত অংশের প্রায় ৬০মিটার। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাত থেকেই জিও ব্যাগ বালুর বস্তা ফেলানো শুরু করেছি।

বুধবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ভাঙ্গনকবলিত গোদার বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী ১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে খবর শুনে সাথে সাথে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া আমার একান্ত সহকারী রওশনকে পাঠিয়েছিলাম যাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সাথে থেকে রাতেই কাজ শরু করতে পারে।’

এদিকে রাতেই জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

পিডিএসও/ এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হুমকির মুখে,বিনোদন কেন্দ্র,নদী গর্ভে বিলীন,বাঁধ,রাজবাড়ী,বেড়িবাঁধ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close