পাবনা প্রতিনিধি

  ১৮ আগস্ট, ২০১৮

পাবনায় কামার পল্লীতে দিনরাত ব্যস্ততা

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার কামার পল্লীতে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শ্রমিকরা। এসব এলাকার সব খানেই কম বেশি কামার শ্রমিক রয়েছে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ বাতাস মুখরিত। এ পেশার মানুষ সারা বছর কম বেশি লোহার কাজ করলেও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্মব্যস্ততা। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত অবধি চলছে তাদের রকমারি কর্মযজ্ঞ।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাড়তি চাহিদা থাকায় ছুরি, দা, বটি, চাকু, চাপাতি তৈরিতে পরিবারের সদস্যদেরও যেন নেই কোন বিশ্রাম। পরিবার প্রধানের সাথে স্ত্রী ও সন্তানরা হাত লাগিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে কাজের গতি।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন কামার পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, কামাররা এক হাতে হাওয়া টানছে অন্য হাত দিয়ে আগুনে দেওয়া লোহা এদিক সেদিক করছে। লোহা পুরে লাল হলে দু’জন মিলে তালে তালে আঘাত করে যাচ্ছে হাতুড়ি দিয়ে। এমনি নিপুণ হাতে তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, দা, বটি, চাকু ও চাপাতি। অন্যদিকে বাড়ির মহিলা সদস্যরা তৈরি করা লোহার জিনিসপত্র বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত মেশিনে ধার দিয়ে যাচ্ছেন। আকর্ষনীয় করতে কেউ বা মেশিনে ও পাথর দিয়ে ঘঁষে ঘঁষে তা পরিস্কার ঝকঝকে,তকতকে করছেন।

এসব এলাকার লোহার তৈরি করা ধারালো লোহার যন্ত্রপাতির চাহিদা রয়েছে অনেক। ব্যবসায়ীরা কামারদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। পাবনার সদর উপজেলাসহ সুজানগর,বেড়া ও সাঁথিয়ার কামার পল্লীর লোহার চাকু, বটি ও চাপাতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মানিকগঞ্জ, সাভার ও টাংগাইলে। একাধিক কামার শিল্পের লোকজনেরা জানান, এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কাঠ কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে ভূগছেন তারা। এক সময় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এক বস্তা কাঠ কয়লা পাওয়া যেত। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

বহলবাড়িয়া গ্রামের আঃ গফুর জানান, মানিকগঞ্জ ও সাভারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা প্রতি নিয়ত তাদের নিকট থেকে এগুলো ক্রয় করে থাকেন। কোরবানীর ঈদে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাইকারদের কাছে চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ । তাই ভোররাত থেকে শুরু করে গভীর রাত জেগে ছুরি, দা, বটি, চাকু ও চাপাতি তৈরী ব্যাস্ত থাকে সাঁথিয়ার কামার পল্লী।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দিনরাত ব্যস্ততা,কামার পল্লী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close