মো.আজিজুল হাকিম, মানিকগঞ্জ
পাগলীটাও মা হয়েছেন
পাগলীটাও মা হয়েছেন। হয়েছে চাঁদের মতো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান। কখনও মায়ের কোলে আবার কখনও বিছানায় শুয়ে মিটিমিটি করে হাসছে। মা পাগল হলেও কোনও আদরের কমতি নেই ছেলের। এমন দৃশ্যই দেখা যায় মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায়। সেখানে শিরিন আক্তার (ছদ্মনাম) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী মা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার বিকেলে সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নে পাড়লা বাজারের পূর্ব পাশে বট গাছের নিচে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম জানান, রোববার বিকালে তার বাড়ির পাশে ও পাড়লা বাজারের পূর্ব পাশে বট গাছের নিচে বেশ কিছু মানুষের ভির দেখে তিনি এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান মানসিক প্রতিবন্ধী শিরিন আক্তার (ছদ্মনাম) মা হয়েছেন। পাগলী তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে চুম খাচ্ছেন আর মিটিমিটি করে হাসছেন। পাগলী একবার করে শিশুকে দেখেন আর একবার করে চুম খান। তখনো শিশুটির নাড়ী কাটা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সময়ে সঙ্গে সঙ্গে এই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ইউপি সদস্য জাহানারা ও রেহেনা বেগম তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে কিছুটা সমস্যা হয় তাদের। পরে ওই মায়ের নাম শিরিন আক্তার ও স্বামীর নাম আব্দুল রাখার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে রেহেনা বেগমের বাড়ি আনা হয়। বর্তমানে পাগলী ও তার শিশু পুত্র উভয়েই সুস্থ আছেন।
এ ঘটনায় রেহেনা জানান, ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমের জন্যই পাগলী ও তার সন্তান ভালো আছেন। মা ও শিশুকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের বাড়িতে ভির করছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন বয়সের মানসিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষরা এসে ঘুরাফেরা করেন। কেউ তাদের খাদ্য কিনে দেয় অথবা কেউ তাদের পুরাতন জামা কাপড় দেয়। তারা বলেন, লজ্জার কথা কি বলবো, এলাকার ও আশেপাশের এলাকার কিছু মানুষ আছে যারা রাতের বেলায় তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এদের মধ্যে যারা নেশা করে তাদের সংখ্যা বেশি। প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে এসব কাজ যারা করে তাদের বের করে উযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।
পিডিএসও/রিহাব