রংপুর ব্যুরো

  ০৮ জুলাই, ২০১৮

রংপুরে হজের জন্য উঠানো ৮ লাখ টাকা ছিনতাই

রংপুরে এক ব্যক্তির ৮ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। রোববার দুপুরে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বর এলাকার আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের গেটের সামনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানায়, নগরীর সাতগাড়া মাস্টার পাড়া এলাকার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম হজে যাওয়ার জন্য আল আরাফাহ ব্যাংকের ওই শাখা থেকে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এরপর, ব্যাংক থেকে বের হয়ে ব্যাগ মোটরসাইকেলে রাখে। এসময় মোটরসাইকেলের পাশে মাটিতে বেশ কিছু বিভিন্ন ধরনের টাকার নোট পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল থেকে টাকার ব্যগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ছিনতাইকারীরা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে টার্গেট নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা কৌশল হিসেবে আগেই রাস্তায় টাকা ফেলে রেখেছিল। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ছিনতাইয়ের শিকার মহসিন আলী জানান, আগামী ১৪ জুলাই তার হজের ফ্লাইট। হজে যাওয়া এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ের খরচাদি মেটানোর জন্য ব্যাংকে এসে টাকা তুলে নীচে নামতেই ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পাশেই এসপি অফিস এবং রংপুর মহানগরীর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হওয়া সত্বেও এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা খুবই আশ্চর্যজনক। তিনি তাদের হজ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারের দাবি জানান।

ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২৭ মে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ওই শাখার ভেতরে টাকা জমা দিতে এসে আরবি ট্রেডার্স এর মালিক শফি মিয়ার (৬৩) ১ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। ওই ছিনতাইকারীকে জমাদানকারী ব্যাংকের স্টাফ হিসেবেই জানতেন। ওই ঘটনায় টাকা চুরির ব্যাপারে মামলা করতে গেলেও কোনও মামলা নেয়নি পুলিশ ।

এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপাক মো. ইব্রার বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ আনুষাঙ্গিক নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হজ,৮ লাখ,ছিনতাই
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist