গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বিছানায় কাতরাচ্ছে শাহীনূর : কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা!
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শাহীনূর আক্তার (১৬) নামে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্র্র্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শাহীনূর উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বেকারকান্দা গ্রামের করনেজ মিয়ার মেয়ে। সে চলতি বছর পৌর শহরের নূরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া নিময় অনুযায়ী চলতি জুন মাসের মধ্যেই শাহীনূরের রাজধানীর ঢাকার একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার কথা। কিন্তু ভাঙা পা নিয়ে বিছানায় পড়ে থাকায় এখন তার ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ১৮ জুন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আজিম উদ্দিনের লোকজন পিটিয়ে শাহিনূরের ডান পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় ২১ জুন গৌরীপুর থানায় মামলা দায়েরের পর প্রতিপক্ষের হুমকির কারণে শাহিনূরের পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন করনেছ মিয়া।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আজিম উদ্দিন বলেন, ওইদিন করনেছ আমার বৃদ্ধা চাচী আমেনা খাতুনের দু হাত ভেঙে দিয়েছে। তবে করনেছের মেয়ের পা কারা ভেঙেছে তা আমি জানিনা। মারামারির সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বেকারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা করনেছ আলীর পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো প্রতিবেশী আজিম উদ্দিনের পরিবারের সাথে। গত ১৮জুন আজিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ বিরোধপূর্ণ জমিতে গোবর ফেলতে গেলে করনেছের সাথে বিরোধ হলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আমেনা খাতুন, করনেছ, শাহীনূর, সুফিয়া, চান্দের নেছো সহ ৫জন আহত হয়।
শিক্ষার্থী শাহীনূর বলেন, মারামারির সময় আমি বাবাকে রক্ষা করতে গেলে প্রতিপক্ষের নয়ন বাশেঁর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার ডান পা ভেঙে দেয়। এখন আমি ভাঙা পা নিয়ে বিছানায় পড়ে আছি। আগামী ৩০ জুন আমার কলেজে ভর্তি হওয়ার শেষ তারিখ। কিন্তু প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। এই অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে আমি ভর্তি হবো কিভাবে।
করনেছ মিয়া বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আজিম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে, আমার মেয়ের পা ভেঙে দিয়েছে। এখন মামলা করায় আবারো মারধরের হুমকি দিচ্ছে। তাই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। এদিকে জুন মাসের মধ্যে মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু এই অবস্থায় ওকে কিভাবে ঢাকায় নিয়ে যাবো।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
পিডিএসও/রানা