রাকিবুল ইসলাম রাকিব, গৌরীপুর
সোমবার পাওয়া তথ্যে অভিযান মঙ্গলবার
কালোবাজারীর দোকান থেকে ভিজিডি’র চাল উদ্ধারে ব্যর্থ প্রশাসন
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কালোবাজারীর দোকানে মজুদ করা ভিজিডি’র চালের বস্তা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তথ্য পাওয়ার পরেও চালের বস্তা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সোমবার বিকালে ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন চাল উদ্ধারে অভিযান চালায় মঙ্গলবার। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই চাল উদ্ধার হয়নি।
তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আমরা চাল উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়েছি কিন্তু দোকানটি বন্ধ ছিলো। তাছাড়া ভিজিডি’র উপকারভোগীরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নেয়ার পরপরই সেটা বাইরে বিক্রি করে দেয়। তাই আমরা কিছুই করতে পারিনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে ভিজিডি’র চালের বস্তা বোঝাই করে দুটি রিকশা মধ্যবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জসিমের দোকানে এসে থামে। পরে রিকশা থেকে বস্তা নামিয়ে জসিমের দোকানে চালের বস্তা মজুদ করেন আরেক ব্যবসায়ী সবুজ। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুললে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে জসিমের দোকানের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ভিজিডি’র প্রায় অর্ধশতাধিক চালে বস্তা দোকানে মজুদ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, এই চালের বস্তাগুলো ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে এসেছে। আজ সেখানে চাল বিতরণের সময় ভিজিডির কার্ডধারী মহিলাদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২২ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল ক্রয় করেছি। এদিকে চাল মজুদের বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন চাল উদ্ধার করতে পারেনি।
মঙ্গলবার দপুর আড়াইটার দিকে মধ্যবাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাল মজুদ করে রাখা কালোবাজারীর দোকানটি বন্ধ রয়েছে। এসময় আশেপাশে খোঁজ করেও কালোবাজারী জসিম কিংবা সবুজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা করিম জানান, আমি ছুটিতে আছি। তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। উনাদেরকে ঘটনা তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত কালোবাজারীর দোকান ভেঙে চালের বস্তা উদ্ধার করা হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা বেগম আকন্দ বলেন, ঘটনা সোমবারের হলেও ইউএনও ম্যাডাম আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন মঙ্গলবার। এরপর আজকে এসিল্যান্ড, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও আমি তিনবার মধ্যবাজার এলাকায় গিয়ে দেখি ওই দোকানটি বন্ধ রয়েছে। এখন আমরা তো আর দোকান ভেঙে অভিযান চালাতে পারিনা।
পিডিএসও/রিহাব