মামুন আহম্মেদ, বাগেরহাট
ষাটগম্বুজ ও খানজাহানের মাজারে পর্যটকের ভিড়
ঈদের দিন বৃষ্টির কারনে ভ্রমন প্রিয় দর্শনার্থী বা পর্যটকের সংখ্যা একটু কম হলেও ঈদের পর দিন ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ ষাটগম্বুজ মসজিদ এবং হযরত খানহাজান আলী’র (রঃ) মাজারসহ তাঁর স্থাপত্ত্য সমুহ দেখতে ভিড় করছেন হাজার হাজার পর্যটক। দেশী-বিদেশী এসব পর্যটকদের ভিড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয় বাগেরহাট শহরতলীর বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ ও খানজাহান আলীর মাজার এলাকা। ঈদের ছুটি শুরুর সাথে সাথেই এই দুটি স্পটসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন রিসোর্ট, শহরের দড়াটানা নদীর পাড়ে অবস্থিত পৌর পার্ক ও চন্দ্রমহলও ভিড় করে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। এসব এলাকায় পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠায় হাজার হাজর দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় সামল দিতে রীতি মতো হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। এবার ঈদের ছুটিতে শুধু মাত্র ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানহাজান আলী’র (রঃ) মাজারে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জেলা প্রতœতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানাগেছে।
খুলনা থেকে বাগেরহাট জাদুঘরে প্রায় ৬শ বছর আগে খানজাহানের পুরাকীর্তির দেখতে আসা সুমি আক্তার জানান, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের যাদুঘরে রাখা বহু বছর আগের পুরাকীর্তির নিদর্শন দেখে ভালো লেগেছে। এখানে এসে প্রায় ৬শ বছর আগে খানজাহানের পুরাকীর্তির নিদর্শন দেখতে পেলাম।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ইসলাম ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের দেশী-বিদেশী পর্যটকরা এখানে সারা বছরই পরিদর্শনে আসেন। ঈদের দিন বৃষ্টির কারনে পর্যাটকদের আগমন কিছুটা কম হলেও ঈদের পরদিন থেকে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এ দুটি স্পটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশের বহু সংখ্যক মানুষ ভ্রমনে এসেছে। মাজারের দীঘিতে মিঠা পানির কুমির দেখতে বেশি আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শানার্থীরা।
পিডিএসও/রানা