সেখ জিয়াউল হক, রাজশাহী
রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ ঈদ আনন্দ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দিন বিকাল ও পরের দিন সকাল থেকেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করে নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদন প্রেমীরা ঘুরে দেখেন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা।
নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মার ধার, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান, শহীদ জিয়া শিশু পার্ক মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। রং-বেরঙের পোশাক পড়ে তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ ছুটে আসেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষের সমাগম হয় এসব স্থানগুলোতে। ঈদের ছুটিতে রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা মানুষগুলোও দীর্ঘদিন পর এসে আনন্দ উপভোগ করতে আসছেন পরিবার নিয়ে।
ঈদের পরের দিন রবিবার রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সাথে হাঁটা, বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে যেন মেতে উঠেছে। পানিতে পা ডুবিয়ে কেউ পদ্মার নতুন পানিতে নৌকা ভ্রমণ করে। আবার কেউ আদরের ছোট্ট সন্তানটিকে নিয়ে যান মজার মজার খেলাঘর দেখাতে।
নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে সকাল থেকেই বিনোপ্রেমীদের সমাগম ঘটে। শুধু মহানগরী নয়, দর্শনার্থীরা জেলার বিভিন্ন স্থান ও দূরদুরান্ত থেকে আসেন বাড়তি বিনোদনের জন্য। কেউ বাস, মিনিট্রাক, পিক আপ ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন বাহনে চেপে আসেন এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কেন্দ্রীয় উদ্যানের ভেতর ছিল লোকারণ্য। সেখানে বিভিন্নভাবে তারা আনন্দ উপভোগ করেন।
নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় নির্মিত শহীদ জিয়া শিশু পার্কে সকালে প্রচণ্ড পরিমাণ রোদের প্রভাব থাকায় তেমন দর্শনার্থীদের ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেখানে শত-শত মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। এছাড়াও ভদ্রা পার্কেও ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। ছোট শিশুদের পদচারণায় পার্কগুলো যেন প্রাণ ফিরে পায়।
এদিকে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটে নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা পাড়ে। সকাল থেকেই সেখানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রোদ-তাপ উপেক্ষা করেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পদ্মার পাড়ে ভিড় জমান। রোদের মাত্রা বেশি থাকায় অন্যান্য স্থান থেকে নদীর পাড়কেই বেশি বেছে নেন বিনোদনপিপাসুরা। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক বিনোদনকেন্দ্রে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
শহীদ জিয়া শিশু পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী সোহেল রানা জানান, বছরের এ সময়টা পরিবারের সাথে ঘুরে ফিরে বেশ আনন্দ পাওয়া যায়। তাছাড়া ঈদ পরবর্তী সময়টা রাজশাহী যেন এক বর্ণীল সাজে সজ্জিত হয়। তাছাড়া সাধারণ জনগণ যেন কোনভাবেই হেনস্তা না হয় সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা অবশ্যই সরকারের একটা প্রশংসনীয় কাজ। ভাদ্রের এই ভ্যাপসা গরম তাদের ঘরে বাঁধতে পারেনি বলে জানান তিনি।
পিডিএসও/রানা