ওয়ালি মাহমুদ সুমন, নীলফামারী
নীলফামারীতে ব্লক রেইড, আটক ২৩
চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে নীলফামারীতে ২৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে ডোমারে ১৩ জন, জলঢাকায় ২ জন এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকাসক্তদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- ডোমারের পশ্চিম চিকনমাটি নাউয়াপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে শাহিদুল ইসলাম, চিকনমাটি দোলাপাড়ার নগেন রায়ের ছেলে সুকুমার রায়, বড় রাউতা মাঝাপাড়ার শ্যাম রায়ের ছেলে স্বপন রায়, চিকনমাটি ছমির উদ্দিন পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মমিনুর ইসলাম, চিকনমাটি দোলাপাড়ার হযরত আলীর ছেলে শাহিন, চিকনমাটি ধনীপাড়ার জিকরুল ইসলামের ছেলে আবু কালাম, চিকনমাটি জুম্মাপাড়ার নুরুল হকের ছেলে রাশেদুল হক, বোড়াগাড়ি বাজার এলাকার ইসলাম আলীর ছেলে উমর ফারুক, পুর্ব ছোট রাউতা এলাকার দুলাল রায়ের ছেলে চন্দন রায়, ছোটরাউতা গুচ্ছগ্রাম এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিনুল ইসলাম, একই এলাকার জাভেদ আলীর ছেলে হৃদয়, ডিমলা উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার কমলা চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়চন্দ্র বর্মণ এবং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম।
পুলিশের ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোকছেদ আলীর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এছাড়া জলঢাকা উপজেলায় আটকরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার খোলাবাড়ি এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন ও রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের কিসামত এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে নজরুল ইসলাম।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, বড়ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬’শ পিচ ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। তারা ঠাকুরগাঁও থেকে আসছিলো বলেও জানান ওসি।
এদিকে র্যাব-১৩ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী(সিপিসি-২) এর অভিযানে সৈয়দপুর উপজেলা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- কয়া রসুলপুর এলাকার ছাগিরের ছেলে তুহিন, ইসলামবাগ এলাকাকার আবুল হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম, আতিয়ার কলোনী এলাকার ইলিয়াস হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন, রসুলপুর এলাকার মুসলিমের ছেলে মোন্না, নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন, ইসলামবাগ এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মগবুল আলম ও পুরাতন মুন্সিপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে আসাদ।
র্যাব সুত্র জানায়, আটকদের ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভুমি) পরিমল কুমার সরকার আটক তুহিনকে সাতদিনের কারাদন্ড এবং বাকি ছয়জনকে ১’শ করে টাকা জরিমানা করেন। র্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, দন্ডপ্রাপ্ত তুহিনকে জেলা কারাগারে এবং জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে নীলফামারীতে ‘ব্লক রেইড’ পরিচালিত হচ্ছে।
কোনো অবস্থাতেই ছাড় পাবেন না মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী কিংবা এর সাথে জড়িতরা।
পিডিএসও/রিহাব