নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ৩০ মে, ২০১৮

হাতিয়ার সড়কগুলো খানাখন্দে সয়লাব

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার প্রায় সড়কগুলো যেন সড়ক নয়, হালচাষ করা ক্ষেত। বড় বড় খানাখন্দ ও ধুলা-বালিতে সয়লাব। মরণফাঁদ বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবু এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলছে শত শত ট্রাক-বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। দশ মিনিটের পথ পাড়ি দিচ্ছে এক -দুই ঘণ্টায়। মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন অবস্থা। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ সড়কটির যেন কোন কর্তৃপক্ষই নেই। সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে, দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবী হাতিয়া বাসীর।

স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চল গুলোর মধো উন্নতম একটি পর্যটন এলাকা। নিঝুম দ্বীপ ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ,মায়াবি হরিণের ঝাকঁ, গাছের পাথুরে শাখা, মেঘনা নদীসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়্য এক লীলাভূমি। সাবেক অনেক কথাসাহিত্যিক গুনসহ অনেক গুণী মানুষের জন্ম এ অঞ্চলে। অথচ উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি । ১৯৮৩ সালে হাতিয়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তর হয় ।স্থানীয়দের পাশাপাশি যারা এলাকায় বেড়াতে আসেন তারাই জানেন দুর্ভোগ কাকে বলে। প্রধান সড়কগুলোতে বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চালকসহ যাত্রীদে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত ধূলা-বালির কারণে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয়রা।

তমরুদ্দি -সোনাদিয়া পিল্টনরোড পর্যন্ত সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন মোঃ আমির উদ্দিন মামুন, ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিনিধি। তিনি বলেন, দায়ে পড়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এক দিন গেলে আরেক দিন যেতে ইচ্ছা করে না। ১০মিনিটের রাস্তা ১ ঘন্টা শেষ হয় না।

মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, বর্তমানে আমাদের এলাকার মত এমন বেহাল রাস্তা মনে হয় আর কোথাও নেই। বর্ষায় কাঁদা, শুকনো মৌসুমে ধুলায় পরিপূর্ণ থাকে রাস্তাগুলো। ফলে বছরজুড়ে এ অঞ্চলের মানুষ এ রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে পড়ে।

টমটম চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘এত গর্ত যে টমটম গতি তুলা যায় না। এখন টমটমে আমরার খরচ বাইড়া গেছে। টমটম একটা গর্ত থাইক্যা উডাইতে যে সময় লাগে, এ গতিতেই প্রায় সারা রাস্তা যাইতে অয়।

সমাজসেবক ও সাবেক মেম্বার মোঃ ইফতেখার হোসেন স্বপন বলেন, এ রাস্তায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পড়েন রোগীরা। বিশেষ করে গভবর্তী নারীদের এ পথ দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়।

উপজেলা শহরের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র দেবনাথ। কিন্তু তমরুদ্দি থেকে সোনাদিয়া পিলন্ট রোড় পর্যন্ত সড়কটি এল জি ই ডির অন্ডারে না থাকায় বর্তমানে সড়কটি নিয়ে কোন কাজ করা সম্ভব না ,নতুন করে রোড় ইনবেন্টরীর মাধ্যমে রোড়টি তালিকায় অন্তরভক্ত করা হবে বলে তিনি বলেন।

কিন্তু রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আত্ততাধীন মানতে নারাজ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। আশা করি অচিরেই জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব ও সমস্যা সমাধানে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা ভুক্তভোগীদের।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সড়ক,খানাখন্দে সয়লাব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist