পাবনা প্রতিনিধি

  ২৬ মে, ২০১৮

‌অপরিকল্পিত সেতু কোন কাজেই আসছে না

পাবনার বেড়ায় চাকলা ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামে কোনো সংযোগ সড়ক ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে খালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। এতে এলাকাবাসীর কোনো কাজেই লাগছে না সেতুটি। এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও পিআইও কার্যালয়ের তত্বাবধানে ৩২ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচুরিয়া গ্রামের প্রধান খালের মধ্যে একটি সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে কোনোরকম সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতুটির নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, যে খালের মধ্যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে তার ওপারে রয়েছে পাঁচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচুরিয়া পূর্বপাড়া গ্রাম। যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রামের লোকজনকে খাল ঘুরে যাতায়াত করতে হত। এতে তাদের ৫০০ মিটারেরও বেশি রাস্তা অতিরিক্ত ঘুরতে হয় বলে সময়ও বেশি লাগতো। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় । এ সেতুটি নির্মিত হলে অতিরিক্ত রাস্তা না ঘুরে সোজা রাস্তায় খাল পার হওয়া সম্ভব। এ জন্য এলাকাবাসী খালের ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে সেতু নির্মিত হলেও এলাকাবাসীর তা কোনো উপকারেই আসেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা না রেখেই সেতু নির্মাণের নকশা ও আর্থিক বরাদ্দ করা হয়। এতে সেতু নির্মিত হওয়ার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সংযোগ সড়কের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠতে পারতো।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাকলা-কৈতলা সড়কের পাশে খালের মধ্যে সেতুটি রয়েছে। সেতুর দুই দিকেই খালের পানি থাকায় সেতুতে ওঠার কোনো ব্যবস্থাই নেই। ফলে সেতুটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয় অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

পাঁচুরিয়া গ্রামের মুরুব্বী নূর ইসলাম বলেন, ‘এই বিরিজ গ্রামের লোকজনের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। পানির মধ্যে খামাখাই বিরিজ বানায়া ফালায়া থুইছে।’

পাঁচুরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মনজুর রহমান বলেন, ‘স্কুলের বাচ্চারা ম্যালা রাস্তা ঘুইর‌্যা স্কুলে যায়। গ্রামের লোকজনকে এর-ওর বাড়ি হয়া যাতায়াত করা লাগে। অথচ বিরিজের সাথে রাস্তা হলি কত মানুষের উপকার হতো।’

স্থানীয় চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ‘সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটা মানুষের কোনো উপকারেই লাগছে না। সংযোগ সড়কের জন্য আমি অনেক জায়গায় আবেদন নিবেদন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’

এ সেতুটি নির্মিত হয় বেড়ার সদ্য বিদায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামীম এহসানের তত্তাবধানে। তিনি বদলীর পর এ পর্যন্ত বেড়ায় কোন পিআইও যোগদান করেননি। তবে সম্প্রতি বদলী হওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই টাকা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আমি সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়েছি।’

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
‌অপরিকল্পিত সেতু,কাজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist