লালমনিরহাট প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ আহত ৬
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষে ৬জন আহত হয়েছে। আহতদের একজন ৫ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। থানায় অভিযোগ দাখিলের ৪দিন পর বুধবার রাতে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হলেও আসামীদের গ্রেফতারে নেই কোন পুলিশের তৎপরতা।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি গ্রামের আবেদ আলীর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি ছেলে রহিম বাদশাকে(৩৫) তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট করে প্রতিবেশী প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী ওরফে ইবলিশ শয়তান(৫৮)। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্ব উভয় পক্ষের মাঝে বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়।
এ শ্যালিস বৈঠকে প্রতিবন্ধি ছেলের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় আত্মসম্মানে লাগে মোহাম্মদ আলী ওরফে ইবলিশ শয়তানের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ মে সকালে আবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল কাদেরসহ ৬ জন ইবলিশের বাড়ির পাশের নিজেদের ক্ষেতের ধান আনতে যান। এ সময় হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দলবলে চার দিক থেকে তাদেরকে আক্রমন করে বেধম মারপিট করে ইবলিশের লোকজন। খবর পেয়ে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় ইবলিশের লোকজন।
এতে আবেদ আলীর পক্ষের নিরস্ত্র কৃষকরা ৬জন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই আশংকা জনক অবস্থায় কাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ৫ দিনের চিকিৎসায় আজ পর্যন্ত জ্ঞান ফিরেনি আহত আব্দুল কাদেরের।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মোহাম্মদ আলী ওরফে ইবলি শয়তানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ মে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ দীর্ঘ ৪ দিন পর গত বুধবার দিনগত রাতে নিয়মিত মামলা হিসেবে গন্য করে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।
মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম জানান, জমি থেকে ধান নিয়ে আসার সময় হঠাৎ তারা চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে এলোপাতারি মারপিট শুরু করে। ৫দিনেও তার আহত ভাইয়ের জ্ঞান ফিরেনি, এখনও সে আশংকামুক্ত নয়। পুলিশের পিছনে ঘোরা ঘুরি করে ৪ দিন পর মামলা নিলেও আসামীদের গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ নেই পুলিশের।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
পিডিএসও/রানা