reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ মে, ২০১৮

ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে গণণা।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সকাল ৮টা ১০ মিনেটের দিকে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৩০টি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ভোটাররা খুব ভয়ে আছেন। হামলা-সহিংসতার আশঙ্কায় অনেকে ভোট কেন্দ্রে আসতে ভয় পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনে জয়ের চেষ্টা করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ভোট ডাকাতি হলে এই নির্বাচন মেনে নেবেন না তিনি।

একই সময়ে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শেষবারের মতো নগরবাসী আমাকে সেবা করার সুযোগ দেবেন এই বিশ্বাস আমার আছে। তবে ভোটের ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবলই ভোট শুরু হলো। কোনও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখিনি। এরই মধ্যে বিএনপি অভিযোগ করে বসল। নিশ্চয় কোনও খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।

এদিকে নির্বাচন চলাকালে জালভোট দেয়ার জন্য দুটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন প্রিজাডিং অফিসার। এছাড়া বিএনপি মেয়র প্রার্থীর বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঞ্জুর দুই এজেন্টকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকায় জালভোট দেয়ার কারণে ৮৫টি ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল।

দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়া লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু ও হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক মেয়র পদে লড়ছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুস আলী জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৮টি। ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার ৯৭২ জন কর্মকর্তা।

এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন ২৮৯ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ১ হাজার ৫৬১ জন এবং পোলিং এজেন্ট রয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভোটগ্রহণ,গণণা,খুলনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist