কক্সবাজার প্রতিনিধি
জীবিত উদ্ধার খালেক, বস্তাবন্দি লাশটি কার?
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থেকে আব্দুল খালেক নামের যুবককে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। তবে ওই এলাকার একটি নাসি থেকে উদ্ধার করা লাশটি কার? এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। যার লাশ বলে শনাক্ত করে দাফন শেষ করেছে পরিবার তাকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো কক্সবাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়ে।
গত ২১ এপ্রিল বিকাল ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও কলেজ গেইটের পশ্চিমে নাসীতে বস্তাবন্দি একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসাবে লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমানে আল ইত্তেহাদকে হস্থান্তর করে পুলিশ। ঠিক সেই মুহুর্তে রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার সদরের ঝিংলজা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আবু ছৈয়দের পুত্র আবদুল খালেক বলে তার স্বজনরা শনাক্ত করে পরদিন স্থানীয় মসজিদে জানাযা পরবর্তী দাফন করে। সেদিন তার স্বজনরা আবদুল খালেককে তার স্ত্রী জোবাইদা হকের ইন্দনে শ্বশুর পক্ষের লোকজন পরিকল্পিত হত্যা করে লাশ নাসীতে ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশকে জানালে হাসপাতাল এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করে।
এদিকে খালেককে দাফনের ১১ দিন পর কল লিষ্ট ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কথিত লাশ আবদুল খালেককে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। তাকে উদ্ধারের বিষয়টি চাউর হলে প্রশ্ন উঠে সেদিনের লাশটি কার? আবদুল খালেক না হয়েও কেন শনাক্ত করে দাফন করা হয়েছে? কেনই বা নিরাপরাদ দুই নারীকে জেল কাটতে হচ্ছে?
জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে। প্রতারণার আশ্রয় নিলে শনাক্তকারী ও আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিডিএসও/রিহাব