লালমনিরহাট প্রতিনিধি
হাতীবান্ধায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঝড়ে বিধস্ত হওয়ার কারনে বর্তমানে সেখানে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হচ্ছে। অন্যদিকে আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষকগণ স্কুল ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ সকালে শিলাবৃষ্টিতে টিনের চালা ছিদ্র এবং ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যালয়ের ছাউনি বিধ্যস্ত হয়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বর্তমানে ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ না করে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে কথা হয়, আরিফা জামান, লিমন, সঞ্চিতা,শাহ আলমসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, নিয়মিত স্কুলে আসি, কিন্তু ঝড়ে স্কুলের চাল উড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ক্লাশ করতে খুবই সমস্যা হয়। কয়েকদিন থেকে আমরা খোলা আকাশের নিচে বিদ্যালয় মাঠে ক্লাস করছি, রোদে ক্লাস করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আমাদের স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে রোদে ক্লাস করে অসুস্থ হয়েছে। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে এজন্য তারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের স্কুলটি দ্রুত মেরামেত করা হয়। আগের মতো তারা যেন নিয়মিত স্কুলে যেতে পারেন, এজন্য তারা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আমঝোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, গত ৩০ মার্চ শীলা বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের টিন ফুটো এবং ১২ এপ্রিল রাতে বিদ্যালয়ের সব শ্রেণি কক্ষের ছাউনি বিধস্ত হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে কয়েকদিন ধরে আমাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এ কারনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকায় শ্রেণি কক্ষ গুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আবেদন করার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সরকারী কোন সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না বা বিদ্যালয়টি মেরামতের বিষয়ে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী শাহ জানান, ঝড়ে আমঝোল নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। মেরামতের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি আবেদন করেছেন। আগের মতো শিক্ষার্থীরা যেন নিয়োমিত বিদ্যালয়ে আসতে পারে এজন্য যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়টির মোরামতের জন্য কিছু অর্থ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পিডিএসও/রানা