রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মূল্যায়ন পরীক্ষার অজুহাতে অর্থ আদায়
প্রতিবাদে ৩০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বর্জন
ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষার অজুহাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরীক্ষার প্রথম দিন ওই বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা না থাকলেও মঙ্গলবার দুপুর থেকে চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ২০০ টাকা এবং নবম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৩০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের ধার্যকৃত ফি’র চাইতে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ১০০ টাকা কম দিতে চায়। কিন্তু তাতে ওই প্রধান শিক্ষক রাজি হননি। তাই পরীক্ষার নাম করে অহেতুক টাকা আদায় করার প্রতিবাদে ক্ষুদ্ধ ত্রিশ শিক্ষার্থী অনুষ্ঠিত প্রথম পরীক্ষা বর্জন করেন। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের সামনে ওইদিন বিকেলে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রুহুল আমিন বলেন, ‘ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় আমরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ২০০ টাকা এবং নবম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৩০০ টাকা ফি ধার্য করি। তবে মূল্যায়ন পরীক্ষা না দিলেও কোন সমস্যা নেই। আমি ওদের বলেছি তোমাদের যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে পরীক্ষার ফি পড়ে দ্যাও। স্কুলের পাওনা ৩-৪ শ’ টাকা প্রত্যেকের কাছে আছে, ওই টাকাটা দিয়া পরীক্ষা দাও। এ কথা বলায় জাগোড় দিয়া ২০-২৫জন চলে গেছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষার বিধান এখন সরকার দেয়নি। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী বছরে দুইটা পরীক্ষা। অথচ তারা পরীক্ষার নাম করে যদি টাকা আদায় করে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
পিডিএসও/রানা