মোঃ ইব্রাহীম, রাজৈর (মাদারীপুর)
কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড রাজৈর
হাসপাতাল, মন্দিরসহ অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড, ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতি
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার উপর দিয়ে ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজৈরের ৩ ইউনিয়নে ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময়কার ঝড়ের তাণ্ডবে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি, সাতপাড় (রাজৈর অংশ) ও খালিয়া ইউনিয়নের শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘর, শত শত গাছ, দোকান-পাট এবং কাঁচা-পাকা ধান ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কদমবাড়ি ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের বিদ্যুতের বেশকিছু খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কদমবাড়ি বাজারের বহু দোকান-পাট বিধ্বস্ত হয়েছে। টেকেরহাট-কদমবাড়ি সড়কের মৃধাবাড়ি থেকে কদমবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার দু‘পাশের শত শত বর্ষীয়ান গাছ ভেঙ্গে উপড়ে পড়েছে।
মৃধাবাড়িতে গাছ পড়ে একটি সার্বজনীন কালীমন্দির, দুলাল মন্ডলের মন্দির, সুভাষ হালদারের বসতবাড়ি, তাপস মন্ডলের বসতবাড়ি, ললিত বাছারের বসতঘর, মনিমোহন বাড়ৈ, নরোত্তম বিশ্বাস, সৃষ্টি গাইন, নিরান সরদারের বসতঘরসহ অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ও কদমবাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে রাজৈর-কদমবাড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ঝড়ের সময় কদমবাড়ি বাজারে গাছের ডাল ভেঙ্গে ও ঘরের চালের নিচে পড়ে ২ জন আহত হয়েছেন। এ সকল ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের তাণ্ডবে কাঁচা-পাকা ইরি-বেরো ধানের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি চলতি মৌসুমের শত শত একর বোনা পাটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপক।
এলাকার কৃষকরা জানান, তাদের কয়েক‘শ একর পাকা ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও তাদের ধারণা ক্ষতির পরিমাণ দেড়কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রাজৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, তাৎক্ষনিকভাবে গাছগুলি সড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। পরবর্তীতে কৃষকদের যথাসম্ভব সহায়তা করা হবে
পিডিএসও/রিহাব