মঞ্চে শেখ হাসিনা, জনসমুদ্রে পরিণত পটিয়ার মাঠ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়া এখন লোকে-লোকারণ্য। বেলা ৩টা ১০ মিনিটে জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম স্লোগান’ ওঠে জনসভাস্থলে। 'বিশ্ব নেত্রীর আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম', 'শেখ হাসিনা', 'শেখ হাসিনা' স্লোগান চলতে থাকলে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান তিনি।
পরে ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর ও ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল থেকেই আশপাশের উপজেলা থেকে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে জনসভায় আসতে শুরু করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার আগমনী বার্তায় রাজপথ ভরে ওঠে। নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেন জনসভায় যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার মধ্যেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভার কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়।
প্রায় ১৭ বছর পর চট্টগ্রামের পটিয়ায় আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই আগমনকে বরণ করে নিতে সাজ সাজ রব উঠেছে পটিয়ায়।
মোড়ে মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি বড় বড় বিলবোর্ড আর তোরণে শোভা পাচ্ছে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম পটিয়া সফর। বর্তমান সরকারের শেষ মুহূর্তের এই সফরে চট্টগ্রামবাসীকে ৪২টি উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ২৮টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্প, ১৪টি উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্প।
প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যায়ে পটিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও ব্যায়বহুল ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের নৌকা আকৃতির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ৩টি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। জনসভার প্রস্তুতি হিসেবে দিনব্যাপী মাইকিং করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের উৎসবে পিছিয়ে নেই আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। সড়কের মোড়ে মড়ো এমপি হিসেবে দেখতে চাই লেখা তোরণ ও বিলবোর্ডও চোখে পড়ার মতো।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে শুরু করে জনসভা স্থলে। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জনসভায় যোগ দিতে আসেন দলটির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই আগমণকে কেন্দ্র করে পটিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জমায়েত করার লক্ষ্য নিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
ইতোমধ্যে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, এখন শুধু অপেক্ষা সেই মহেন্দ্রক্ষণের। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমণের। তিনি আসবেন, উপহার দেবেন। শোনাবেন তার বাণী।
পিডিএসও/রিহাব