মো: শাকিল আহমেদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
এবার সাংবাদিকদের নেশাখোর বললেন মেয়র আলমগীর (ভিডিও)
সাংবাদিককে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দেয়ার পর এবার ‘সাংবাদিকদের নেশাখোর’ বললেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার। শুক্রবার রাণীশংকৈল পৌরসভা চত্বরে কয়েকজন কাউন্সিলরের সামনে মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকদের নেশাখোর বলে মন্তব্য করেন।
রাণীশংকৈলে জাইকার রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দিয়েছিলেন মেয়র আলমগীর সরকার। ঘটনার দিন রাতে সাংবাদিক খুরশিদ আলম শাওন নিরাপত্তা চেয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
পরদিন শুক্রবার রাণীশংকৈল পৌরসভা চত্বরে কয়েকজন কাউন্সিলরের সামনে মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকদের নেশাখোর বলে মন্তব্য করেন। মেয়র আলমগীর বলেন, রাণীশংকৈলে জাইকার রাস্তা সংস্কারের কাজ নিয়ে অসৎ কিছু সাংবাদিক যাদের সাংবাদিক হওয়ার কোন যোগ্যতা নাই। তারা পত্রিকাসহ ফেসবুকে এই রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। এটা অনলাইনের কাজ; কাজের মধ্যে যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে ঠিকাদার বিল পাবে না। এ কাজে কোন দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই।
যারা এ কাজ নিয়ে অনিয়মের সংবাদ করেছেন তারা সাংবাদিক না তারা সাংবাদিক নামের কলঙ্ক। যেখানে দুর্নীতির জায়গা সেখানে সাংবাদিকরা যায়না। সাংবাদিকরা জাইকার ঠিকাদারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাইতে গিয়েছিল; ঠিকাদার টাকা না দেওয়ায় তারা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিকরা নেশাখোর; এরা ৫ টাকা পাইলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। ১০ টাকা দিলে দিবেনা, আর ১০টাকা না পাইলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে দেয়। এ প্রকল্পে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
সাংবাদিক শাওন বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মেয়র আলমগীর চাঁদাবাজি সহ সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।
রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক আলী বলেন, আমরা যখন কোন ঠিকাদার অথবা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করি। পরবর্তীতে তারা সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে সাংবাদিকরা চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল। এটা তাদের প্রচোলন হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করায় তিনি নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র আলমগীর সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় ‘বদলি ঠিকাদার ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে রানীশংকৈলে জাইকার কাজ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
সোমবার সাংবাদিকদের হাতে আসা ভিডিও ক্লিপটি দেখুন :
পিডিএসও/রিহাব