ইজতেমায় জুমার নামাজে লাখো মুসল্লি
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার জুমার নামাজে মুসল্লির ঢল নামে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তম জুমার নামাজের খুতবা শুরু হয়। জুমার নামাজ ১টা ৩৯ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৪৬ মিনিটে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের।
জুমার নামাজ আদায়ের নিয়তে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আজ সকাল থেকেই গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলাসহ জেলার আশপাশের জেলা থেকে ইজতেমা ময়দান অভিমুখে রওনা হন। দুপুর ১২টার আগেই ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকাসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকা মুসল্লিতে কানান কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে জায়নামাজ, পাটি, কাগজ ও পলিথিন বিছিয়ে মহাসড়কে নামাজ আদায় করেন। এ সময় বিভিন্ন যানবাহন থেকে নেমে যাত্রীরাও ইজতেমা ময়দানের প্রবেশ মুখে ওজুখানা থেকে ওজু করে নামাজে শরিক হন।
ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আজ বাদ ফজর আমবয়ান করেন মাওলানা ফারুক। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউনুস পলানপুরী, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা আহমেদ শরীফ।
জুমার নামাজে স্বরাষ্টমন্ত্রী : দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায় করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় তার সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী, গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ।
বিভিন্ন দেশের ভাষায় বয়ানের তাৎক্ষণিক অনুবাদ : ইজতেমা ময়দানের বয়ান ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানে বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনান।
পিডিএসও/হেলাল