মহসীন শেখ, কক্সবাজার

  ১০ জানুয়ারি, ২০১৮

অভিভাবক নির্যাতন : অভিযুক্ত শিক্ষকদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

কক্সবাজারের খরুলিয়ায় আয়াত উল্লাহ নামের এক অভিভাবককে দড়ি বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। হাত-পা ও গলায় দড়ি বেঁধে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তোড়পাড় সৃষ্টি এবং মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষকরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিভাবক নির্যাতনে অভিযুক্তদের হন্য হয়ে খুঁজা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া।

সোমবার বিকালে হত্যা ও সম্মানহানির অভিযোগ তুলে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভূক্তভোগি অভিভাবক আয়াত উল্লাহ। মামলায় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- শিক্ষক মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ, নুরুল হক, খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন ও দপ্তরি নুরুল হক। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৬ জনকে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন- সোমবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকালে ফোর্স নিয়ে আমি নিজেই খরুলিয়া স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু আসামিরা পলাতক রয়েছে। মূলত নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এবং মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তোড়পাড় সৃষ্টি এবং মামলা দায়ের পর অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আসামিদের মোবাইল নাম্বারও সংগ্রহ করা হয়েছে। মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে দ্রুত সময়ে।

সূত্রে জানা গেছে- আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়া নাফিজ আবির খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট মডেল স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হয়েছে। গত রোববার সকালে ছেলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে জানতে স্কুলে যান আয়াত উল্লাহ। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণিতে মাসিক বেতন হল ২৫০ টাকা। আর ভর্তি হলো এক হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল মাসিক বেতন ২০০ টাকা ও ভর্তি ফ্রি ছিল ৬শ’ টাকা। অঘোষিতভাবে কাউকে না জানিয়ে কেন এতো টাকা বাড়ানো হলো; এসব বিষয়ে আয়াত উল্লাহ কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহানের কাছ থেকে জানতে চান এবং ছেলে এ প্লাস না পাওয়ার কারণও জানতে চান।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপরাপর শিক্ষক ও ছাত্রদের ডেকে আয়াতকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে অতর্কিতভাবে। মারধরের এক পর্যায়ে দড়ি নিয়ে এসে হা ও পা বেঁধে ফেলে। এরপর যে যার মতো করে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মাটিতে ফেলে আয়াতকে নির্যাতন করে দুই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে এলাকাবাসীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অভিভাবক,নির্যাতন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist