মঙ্গল গ্রহে থাকতেন রাশিয়ার এই যুবক!
পৃথিবীর আগে লাল গ্রহ মঙ্গলে নাকি জন্মেছিলেন তিনি। এমনই দাবি করলেন রাশিয়ার এক যুবক বরিসকা। তাকে এক প্রকার জাতিস্মরই মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০ বছরের বরিসকার মা-বাবা জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই তিনি মহাকাশ, গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে একাধিক কথা বলতেন। অথচ এগুলোর কোনো কিছুই সেই বয়সে তিনি পড়েননি। এমনকি ভিনগ্রহের প্রাণী এবং সেখানকার সভ্যতা নিয়েও কথা বলতেন বরিস্কা।
মাত্র দুই বছর বয়সেই অনায়াসে লেখাপড়া করতে পারতেন তিনি। তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরাও। বরিসকার মা নিজেও চিকিৎসক। ছেলে যে বিশেষ তা বুঝতে তার বেশি দিন সময় লাগেনি। জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যেই বরিসকা নিজে থেকেই মাথা তুলছিল।
তার পর থেকেই সময়ের আগেই একাধিক পরিণত কর্মকান্ডে সকলকে চমকে দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। সবচেয়ে অবাক করার মতো কথা বরিসকা বলেছিলেন, তিনি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার আগে নাকি মঙ্গলে থাকতেন। সেখানকার প্রাণীদের বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছেন বরিস্কা।
বিজ্ঞানীদের তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহের প্রাণীরা সাধারণত সাত ফুট লম্বা হন। সেখানে এখনো প্রাণের অস্তিত্ব আছে। লাল গ্রহের অভ্যন্তরে তারা বাস করেন। কার্বন-ডাই অক্সাইডেই চলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া। পারমাণবিক বিপর্যয়ের কারণেই মঙ্গল গ্রহের ওপরে আর প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
তবে সেখানকার প্রাণীরা নাকি অমর এবং ৩৫ বছর হলেই তাদের বয়স থমকে যায়। প্রযুক্তিগত দিক থেকে মানুষের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক। তারা এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে ভ্রমণ করতে পারেন। প্রাচীন মিসরের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের প্রাণীদের গভীর যোগসূত্র ছিল বলে দাবি করেছেন বরিস্কা। সে সময় মঙ্গল গ্রহের যানের চালক হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। বরিস্কার একাধিক বক্তব্যে দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
পিডিএসও/তাজ