রহস্যময়ী এই নারী যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাডাম জিসেলি নামে পরিচিত। তিনি দুই দেশের দু’জন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বলে দাবি করছেন। ৫০ বছর বয়সী ম্যাডাম জিসেলি জানিয়েছেন, গোপনে তাদের সঙ্গে বিয়ে হয় এবং দুই প্রেসিডেন্ট স্বামীর ইচ্ছায় তিনি বিয়ের তথ্য চাপা রেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় ম্যাডাম জিসেলির দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবর মতে , মিসরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তার স্বামী। যদিও এ খবর কেউ জানেন না। সিসির কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও নাকি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।

অন্যদিকে ভেনিজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজও ম্যাডাম জিসেলির স্বামী ছিলেন বলে তার দাবি। কিন্তু কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নাকি তার হাত রয়েছে। আবার ঘানার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন কুফুয়োরের সঙ্গে তার নাকি ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ নিয়ে ঘানার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্লগে লেখালেখি হয়েছিল।

দুই দেশের প্রেসিডেন্ট স্বামী নিয়ে এই নারীর বক্তব্য হলো, সিসির সাথে সুসম্পর্ক থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির ফোনালাপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে তার দাবি । শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউসেও নাকি তিনি বসেন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ম্যাডাম জিসেলি নামে হোয়াইট হাউসে কেউ কাজ করেন না।

এদিকে তার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে মেরিল্যান্ড অ্যাটর্নির কার্যালয়। নানান রকম তথ্য বেরিয়ে আসছে। কতটা সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে- তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

রহস্যময় নারী ম্যাডাম জিসেলির অর্থ-সম্পদ নিয়ে তার প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে। ব্যক্তিগত জেট বিমানে চলাচল করেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করছেন, বহু দেশে তার বাড়ি ও সম্পত্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ডেও তার আলিশান বাড়ি আছে। তার জন্ম লেবাননে কিন্তু বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কলোম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, কিউবায় তার অবাধ যাতায়াত রয়েছে।

পিডিএসও/তাজ