reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩১ জুলাই, ২০১৯

মায়ের পাকস্থলি ও লিভারের ফাঁকে বড় হচ্ছিল শিশুটি!

মায়ের জরায়ুতেই বেড়ে ওঠে গর্ভজাত সন্তান। তবে এবার জরায়ুতে নয়, সন্তান বেড়ে উঠছিল মাযের পাকস্থলি ও লিভারের ফাঁকে।

গর্ভাবস্থায় টেস্টে ধরা পড়েনি মায়ের গর্ভধারণের প্রমাণ। পরে থ্রি-ডি টেস্টে পাওয়া যায় সন্তানের দেখা। আর মাত্র পাঁচ মাসের গর্ভধারণ থেকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে এ সন্তানকে জন্ম দেয়া হয়। চিকিৎসকরা এ বাচ্চাকে নাম দিয়েছেন ‘ওয়ান্ডার বেবি’। তবে দ্রুত অস্ত্রপচার না করা হলে মায়ের মৃত্যুও ঘটতে পারতো।

গত বৃহস্পতিবার প্রতিমা বাগ নামের পঁচিশ বছর বয়সী এক নারী পেটের ব্যথা নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা আগের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রিপোর্ট দেখার পর নতুন করে কিছু পরীক্ষা, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করেন। এসব পরীক্ষায় রোগীর কোনো সমস্যাই ধরা পড়েনি। এরপর প্রেগনেন্সি টেস্ট করে প্রেগন্যান্সির বিষয়টি নিশ্চিত হলেও বাচ্চার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জরায়ুতে কোনো বাচ্চাই খুঁজে পান নি ডাক্তাররা। পরে থ্রি-ডি স্ক্যান করার পর শিশুর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। মাথা, হাত, পা, পূর্ণ শারীরিক গঠন নিয়ে প্রায় ৫ মাস বয়সী শিশুটি পাকস্থলি, লিভার, অন্ত্রের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।

চিকিৎসক প্রবোধ সোরেঙ বলছেন, এই গর্ভস্থ সন্তান খাদ্যনালী, লিভার পাকস্থলীর দেয়াল থেকে তার খাবার সংগ্রহ করছিল। আর একটু বড় হলেই সে যেভাবে খাবার সংগ্রহ করতে তাতে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হত। মৃত্যু হতো মায়ের। সাধারণত এ ধরণের ঘটনায় ১০ হাজারে একটি সন্তান বাঁচে। এক্ষেত্রে মাকে বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করে গর্ভস্থকে বাদ দেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

চিকিৎসকরা ওয়ান্ডার বেবিকে বাঁচাতে পারেননি, মাত্র পাঁচ মাসের গর্ভজাত সন্তানের বাঁচারও কথা নয়। তবুও বিষয়টি মানতে পারছেন না গর্ভধারণকারী ওই মা।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গর্ভজাত সন্তান,পাকস্থলি,শিশুসন্তান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close